পেপে রেইনার ভাগ্যে খেলোয়াড়ের জার্সি কাহিনি

পেপে রেইনার ভাগ্যে খেলোয়াড়ের জার্সি কাহিনি
পেপে রেইনার ভাগ্যে খেলোয়াড়ের জার্সি কাহিনি

২০১৪ সালে স্পেনের ২৩ নম্বর জার্সি জুটেছিল পেপে রেইনার ভাগ্যে। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে এই গোলরক্ষকের। 

বিশ্বকাপ পর্দা ওঠার আর মাত্র ২৩ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকছে। 

 

ক্লাসের ‘ফেল্টুস’ ছেলেদের রোল নম্বর সবার পেছনের দিকেই থাকে। আর সবচেয়ে ‘লাড্ডু’ ছেলেটার কপালেই সবসময় জোটে সবার শেষের রোল টাই। ফুটবল দলেও এমন জার্সি নম্বর থাকে কে বা জানতো ? স্কোয়াডে ১ থেকে ২৩ পর্যন্ত জার্সি নম্বর। সে হিসাবে সবার শেষে তো দলে জায়গা পাওয়া খেলোয়াড়ের কপালেই জোটার কথা ২৩ নম্বর জার্সি। আসলেই কি তাই?

 

সাধারণত দলের তৃতীয় গোলরক্ষকের ভাগ্যে জোটে ২৩ নম্বর জার্সি। মাঝে মাঝে নবীনতম খেলোয়াড়ের ভাগ্যেও। ২৩ নম্বর জার্সি পরার ইতিহাস কিন্তু খুব নতুন নয়। ১৯৫৪ সালে বিশ্বকাপে প্রথম জার্সিতে নম্বর লেখার চল শুরু হয়। সেটিও ইচ্ছামতো নম্বর নেওয়ার সুযোগ নেই। নিতে হবে ধারাবাহিকভাবে। ১, ২, ৩…এভাবে। কিন্তু ২০০২ বিশ্বকাপে এসে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২৩ নম্বর জার্সি। এর আগে বিশ্বকাপে এই জার্সিটি ছিল না।

থাকবে কী করে, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে  বিশ্বকাপ স্কোয়াড দিতে হতো ২২ জনের সংখ্যার । ২০০২ বিশ্বকাপেই প্রথম সংখ্যাটা ২৩-এ উন্নীত হয়েছিলো ।

মজার ব্যাপার হলো, এর আগেও বিশ্বকাপে ‘২৩’ নম্বর জার্সিটি ২বার দেখা গিয়েছিল। ১৯৬২ বিশ্বকাপে এটার প্রথম অনানুষ্ঠানিক অভিষেক হয় বিশ্বকাপে। ২৩ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিলেন উরুগুয়ের গিলেমো এস্কালাদা। কারণ? দলের কোনো খেলোয়াড় ১৩ নম্বর জার্সিটি পরেননি। ১৩ সংখ্যাটা যে অপয়া! ফলে ২২ জনের স্কোয়াড হলেও উরুগুয়ে দলে ছিল ২৩ নম্বর জার্সিধারী এক খেলোয়াড়।

 

১৯৯৮ বিশ্বকাপেও এক খেলোয়াড়ের জার্সির নম্বর ছিল ২৩। বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে যান দক্ষিণ আফ্রিকার রিজার্ভ গোলরক্ষক, ২২ নম্বর জার্সিধারী পল এভান্স। তাঁর পরিবর্তে দলে জায়গা পাওয়া সিমোন গোপান খেলেন ২৩ নম্বর জার্সি নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *